সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন
১. ময়েশ্চারাইজিং মাস্ক :
মধু প্রাকৃতিকভাবে উপকারী একটি উপাদান যা ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখতে সহায়তা করে। ত্বককে আর্দ্র হওয়া থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন এক টেবিল চামচ মধু ১০-১৫ মিনিট মুখে মাখলে লাবণ্যতা ফুটে ওঠে।
২. লোমকূপ পরিস্কার করে :
মধুতে থাকা এনজাইম ত্বকের লোমকূপ পরিস্কার করে থাকে। এছাড়া মধুতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের ভারসাম্যতা রক্ষা করে কালচে ভাব দূর করে। এর জন্য এক টেবিল চামচ মধু, জোজোবা তেল এবং নারিকেল মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন।
৩. মৃদু সঞ্চালন :
মধু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এনজাইম সমৃদ্ধ একটি উপাদান যেটি ত্বকের পুষ্টি যুগিয়ে ত্বককে প্রাণবন্ত করে তোলে এবং ত্বকের মৃদু সঞ্চালন করে থাকে। এটি ত্বকের মরা চামড়া রোধে সহায়তা করে। এর জন্য ২ টেবিল চামচ মধু এক টেবিল চামচ বেকিং সোডার সাথে মিশিয়ে মুখে স্ক্রাব আকারে ঘষতে পারেন।
৪. ক্ষত চিহ্ন নির্মূল করে :
মধু যেহেতু অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান সম্পন্ন একটি উপাদান, তাই এই উপাদানটি মুখে ব্যবহারে তা খুব সহজেই ক্ষত চিহ্ন নির্মূলে সহায়তা করে থাকে। এর জন্য এক টেবিল চামচ মধুর সাথে নারিকেল তেল এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে ক্ষত স্থানে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া এভাবে নখে ব্যবহারেও নখ পরিস্কার হয়ে থাকে।
৫. ব্রণের সমস্যা দূর করে :
মধু অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ফাংগাল উপাদান সমৃদ্ধ তাই এটি ব্রণের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে থাকে। এর জন্য শুধু মধু রোজ ১০-১৫ মিনিট মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
৬. হেয়ার কন্ডিশনার :
মধুতে থাকা নিউট্রিয়েন্টস নিস্তেজ চুলকে উজ্জ্বল করে। এটি চুলে কন্ডিশনারের কাজ করে। তাই এর জন্য দুই টেবিল চামচ মধু নারিকেল তেলের সাথে চুলে মাখতে পারেন। এটি ২০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৭. শ্যাম্পুর পরিপূরক হিসেবে :
প্রাকৃতিক এই উপাদানটি শ্যাম্পুর পরিপূরক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে চুল মসৃণ আর প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এর জন্য শ্যাম্পুর সাথে ২ টেবিল চামচ মধু ব্যবহার করতে পারেন।
৮. হেয়ার হাইলাইটার :
মধুতে থাকা গ্লুকোজ অক্সিডেজ চুলে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড প্রদান করে থাকে যা চুলের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে চুল অনেক বেশি হাইলঅইট করে তোলে। এর জন্য এটি প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।